সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত
- আপলোড সময় : ১২-১০-২০২৫ ০৯:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৫ ০৯:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক সুনামকণ্ঠ কার্যালয়ে পরিষদের সভাপতি প্রভাষক দুলাল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি সাজাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আড্ডায় মুখ্য আলোচক ছিলেন সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন প্রভাষক দুলাল মিয়া, আহমেদ নূর আলবাব ও শিক্ষক মোহাম্মদ মোছায়েল আহমদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সিলেটের কৃতী সন্তান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১০ অক্টোবর, শুক্রবার মারা যান। আড্ডার শুরুতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাঁর স্মরণে আলোচকগণ বলেন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অত্যন্ত মেধাবী ও গুণী মানুষ ছিলেন। তিনি সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি সময় ও সমাজসচেতন একজন লেখক ছিলেন। তাঁর প্রতিটি লেখা খুবই মূল্যবান। বড় অসময় তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তাঁর শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
আড্ডার দ্বিতীয় পর্বে সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ মোছায়েল আহমেদ লোক প্রবন্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ইতিহাসবিদ ড. মমিনুল হক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ লাভ করায় সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মোহাম্মদ মোছায়েল আহমদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল গ্রামের সন্তান। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থ - জীবনের বাঁকে, বিদগ্ধ হৃদয়, মাটিয়ান হাওরের কান্না, দিগন্তে দিবাকর ও আমার দেখা ভাটির সংস্কৃতি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শাহ মো. কামরুজ্জামান ও সুরঞ্জিত গুপ্ত রঞ্জু প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ